রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের স্কুলপড়ুয়া ছেলে তওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যা ও বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি লিমন মিয়া (৩৪) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়েছে- পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসির কাছ থেকে লিমন নিজের অভাব-অনটনের কথা বলে মাঝে মধ্যেই টাকাপয়সা নিতেন। এই টাকাপয়সা নেওয়াটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে লিমন মিয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রাত
পরীক্ষা দেয়া হলো না ভোলাহাটের ১৭ শিক্ষার্থীর
পরীক্ষা দেয়া হলো না ভোলাহাটের ১৭ শিক্ষার্থীর
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম ইনিষ্টিটিউটের ১৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি (কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ১ম বর্ষ চূড়ান্ত) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এর ফলে ওই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাবার শংকা করছেন।
শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে ভর্তি হয় ও পরীক্ষার ফরম পূরণ করে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে তাদের প্রবেশ পত্র আসেনি। সোমবার পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীরা শেষ ভরসা হিসেবে ছুটে যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভীনের কাছে। সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা শুনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং ভোলাহাট উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সরদারকে বিষয়টি দেখার দাযিত্ব দেন। কামরুজ্জামান সরদারও বলেন, এমন ক্ষেত্রে সময় থাকতে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে চেষ্টা করতে পারত।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম জানান, ভর্তিতেই ত্রুটি ছিল ওই ১৭ জনের। কলেজ কর্তৃপক্ষের বারবার চেষ্টার পরেও বোর্ড কর্র্তৃপক্ষ যথাসময়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় ১৭ শিক্ষার্থী শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসতে পারল না। বোর্ড বারবার তাদের এ সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিলেও সমাধান করেনি। তিনি দাবী করেন, শুধু তাঁর কলেজের ১৭ জনই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী এই অবস্থায় পড়েছেন। তিনি বলেন, ৬ এপ্রিল যেন শিক্ষাথর্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে সে চেষ্টা চলছে। এদিকে, আগামী ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-০৪-১৯

Comments
Post a Comment