রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের স্কুলপড়ুয়া ছেলে তওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যা ও বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি লিমন মিয়া (৩৪) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়েছে- পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসির কাছ থেকে লিমন নিজের অভাব-অনটনের কথা বলে মাঝে মধ্যেই টাকাপয়সা নিতেন। এই টাকাপয়সা নেওয়াটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে লিমন মিয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রাত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম আছে ক্রেতা নেই
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গত দেড় যুগের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে আম। ক্রেতা না থাকায় আমের বাজারে ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। ফরমালিনের অজুহাতে আম ধ্বংস, ফরমালিন ভীতি, আম পাড়ার সময় বেঁধে দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে গত চার বছর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ব্যবসায় মন্দা চলছে।জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে প্রায় দেড় মাস আগে উঠেছে আম।
অথচ এখনো বাজার তেমন জমে ওঠেনি। এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে গুটি, গোপালভোগ ও খিরসাপাত জাতের আম। এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, আম্রপালি, বোম্বাই, ল্যাংড়া ও ফজলি জাতের আম। ব্যবসায়ীরা জানান, আর কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে উঠবে আশ্বিনা জাতের আম।কিন্তু বাজারের মন্দাভাব কিছুতেই কাটছে না। শহরের পুরাতন বাজারের আম ব্যবসায়ী গোলাম মোর্তুজা বলেন, রমজান মাসে এমনিতেই আমের চাহিদা কম থাকে।
এ বছর আমের ভরা মৌসুম পড়েছে রমজান মাসে। আশা করেছিলাম রমজান মাস শেষে হলে আমের বিক্রি বেড়ে যাবে কিন্তু রমজান শেষ হওয়ার পরও আম বিক্রি বাড়েনি। বাজারে পর্যাপ্ত আম থাকলেও ক্রেতা নাই। অন্যান্য বছর যে পরিমাণ আম বিক্রি হয় এ বছর তা শতকরা ৩০ ভাগ বিক্রি কমে গেছে। জেলার বাইরের কোনো পাইকার এখন পর্যন্ত আসছে না।
ফলে চাহিদা না থাকায় আমের দাম এ বছর খুবই কম।চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মসজিদ পাড়ার আম ব্যবসায়ী সুকুমার ও শাহালাল জানান, আম বাগানের পরিচর্যায় সার-বীজ এবং শ্রমিক খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে এক মণ আমে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু সেই আম বিক্রি করতে হয়েছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। মৌসুমের শেষে লাভতো দূরের কথা, পুঁজি খুজে পাওয়া যাবে না।
দেড় যুগের মধ্যে আমের দামে এমন বিপর্যয় দেখেননি তারা।বাংলাদেশ ম্যাংগো প্রডিওসার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, আমের দাম কম হওয়ায় এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীদের ৫০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ও চাষি পুঁজি হারিয়ে ফেলেছেন। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।আব্দুল্লাহ/আরএআর/জেআইএম

শহরের পুরাতন বাজারের আম ব্যবসায়ী গোলাম মোর্তুজা বলেন, রমজান মাসে এমনিতেই আমের চাহিদা কম থাকে। এ বছর আমের ভরা মৌসুম পড়েছে রমজান মাসে। আশা করেছিলাম রমজান মাস শেষে হলে আমের বিক্রি বেড়ে যাবে কিন্তু রমজান শেষ হওয়ার পরও আম বিক্রি বাড়েনি। বাজারে পর্যাপ্ত আম থাকলেও ক্রেতা নাই। অন্যান্য বছর যে পরিমাণ আম বিক্রি হয় এ বছর তা শতকরা ৩০ ভাগ বিক্রি কমে গেছে। জেলার বাইরের কোনো পাইকার এখন পর্যন্ত আসছে না। ফলে চাহিদা না থাকায় আমের দাম এ বছর খুবই কম।
ReplyDeleteচাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মসজিদ পাড়ার আম ব্যবসায়ী সুকুমার ও শাহালাল জানান, আম বাগানের পরিচর্যায় সার-বীজ এবং শ্রমিক খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে এক মণ আমে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু সেই আম বিক্রি করতে হয়েছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। মৌসুমের শেষে লাভতো দূরের কথা, পুঁজি খুজে পাওয়া যাবে না। দেড় যুগের মধ্যে আমের দামে এমন বিপর্যয় দেখেননি তারা।
বাংলাদেশ ম্যাংগো প্রডিওসার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, আমের দাম কম হওয়ায় এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীদের ৫০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ও চাষি পুঁজি হারিয়ে ফেলেছেন। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
আব্দুল্লাহ/আরএআর/জেআইএম