His game was announced to watch the armistice, but his father's record was not broken, at a glance Pele's life
তাঁর খেলা দেখতে ঘোষিত হয় যুদ্ধবিরতি, তবে ভাঙা হয়নি বাবার রেকর্ড, একনজরে পেলের জীবন
০১. “আমার দেখা সেরা ফুটবলার”, পেলের সম্পর্কে এ কথাই বলেছিলেন জার্মান কিংবদন্তি বেকেনবাওয়ার। হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চিরবিদায় নিলেন ফুটবলের জাদুকর। তবে রেখে গেলেন হাজারো স্মৃতি, ইতিহাস আর রেকর্ড। যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বিশ্ববাসীর মনে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের নানা সুখ-দুঃখের কাহিনি।
০২. বিজ্ঞানী থমাস এডিসনের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রাখা হয়েছিল পেলের নাম। তাঁর আসল নাম এডসন আরান্তেস দো নাসিমিয়েন্তো। বাড়ির লোকেরা ডাকতেন ডিকো বলে। ছোটবেলায় তাঁর স্কুলের এক সহপাঠীই তাঁকে পেলে বলে ডাকতেন। কারণ পেলে সে সময় স্থানীয় ক্লাব ভাস্কো দা গামার গোলকিপার বিলে-কে পিলে বলে ডাকতেন। সেখান থেকেই সহপাঠীর মাথায় পেলে নামটি আসে।
০৩. অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া পেলের ছোটবেলায় ফুটবল কেনার অর্থ ছিল না। তাই কাগজ আর মোজা গোল করে বল বানিয়েই খেলতেন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে তৈরি তাঁর ছোট্ট ফুটবল দলটির নাম ছিল ‘দ্য সুলেস ওয়ান্স’। সেই পেলেরই কেরিয়ারের পাশে লেখা ১২৮৩টি প্রথম শ্রেণির গোল। যার মধ্যে ব্রাজিলের হয়ে করেছিলেন ৭৭টি।
০৪. মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্যান্টোসে সই করেন পেলে। আর ১৭ বছর বয়সেই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে যান। ১৯৬৯ সালের ১৯ নভেম্বর কেরিয়ারের এক হাজারতম গোলটি করেন তিনি। তারপর থেকে ১৯ নভেম্বর দিনটি ‘পেলে দিবস’ হিসেবে পালিত হয় স্যান্টোসে।
০৫. জীবনে তিনবার বিয়ে করেন পেলে। মোট সাত সন্তানের বাবা তিনি। শিরোনামে উঠে এসেছিল একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথাও। তাঁর প্রথম স্ত্রী রোসমেরি। সেই পক্ষের দুই মেয়ে ও এক ছেলে পেলের। রোসমেরির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সুজার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন পেলে। তবে তাঁদের বিয়ে হয়নি।
এরপর মনোবিদ তথা গায়িকা লিমস সেইজাসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পেলে। সেই সম্পর্কও টেকেনি। ৭৩ বছর বয়সে মার্সিয়া আওকির সঙ্গে প্রেম এবং ২০১৬ সালে বিয়ে হয় কিংবদন্তির।
০৬. বিশ্বের বহু তারকাকে পিছনে ফেললেও নিজের বাবার নজির টপকাতে পারেননি পেলে। তাঁর বাবা একবার একটি ম্যাচে হেডে মোট পাঁচটি গোল করেছিলেন। সেই রেকর্ড ভাঙতে ব্যর্থ হন পেলে। তিনি এক ম্যাচে সর্বোচ্চ চারটি গোল করেছিলেন হেডে।
০৭. ফুটবলার হিসেবে যখন গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছেন, ঠিক তখনই একবার রুপোলি পর্দায় ধরা দেন পেলে। মাইক বাসেট: ইংল্যান্ড ম্যানেজার ছবিতে একটি সাক্ষাৎকারের দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
০৮. ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০- একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য তিনি। একবার পোপ ফ্রান্সিসকে নিজের সই করা একটি জার্সি এবং ব্রাজিলীয় তারকা রোনাল্ডোর অটোগ্রাফ যুক্ত একটি বল দিয়েছিলেন। যা আজও সযতেœ রাখা আছে ভ্যাটিক্যান মিউজিয়ামে।
০৯. তিনি যে কত বড় মাপের ফুটবলার এবং গোটা বিশ্ব যে তাঁর পায়ের জাদুতে মোহিত, তার প্রমাণ মেলে ১৯৬৭ সালের একটি ঘটনায়। সে বছর প্রশাসন ও বিক্ষুব্ধদের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নাইজেরিয়া। কিন্তু সেই যুদ্ধের আবহেই সে দেশে খেলতে গিয়েছিলেন পেলে।
নিউ ইয়র্ক কসমসের সাম্মানিক প্রেসিডেন্ট পদও দেওয়া হয়েছিল পেলেকে
ReplyDeleteবিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন
ReplyDelete