চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি পুড়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ আগুন লেগে পুড়ে গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। বাঙালি জাতির ঐতিহ্যগত প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখের অন্যতম একটি আয়োজন শোভাযাত্রা। এবছর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে। আর জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রায় বহনের জন্য অন্যতম বড় একটি মোটিফ বানানো হচ্ছিল, যাকে বলা হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর উচ্চতা ছিল ২০ ফুট। প্রক্টর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’র মোটিফটির সঙ্গে ‘শান্তির পায়রা’র একটি মোটিফও পুড়ে গেছে। কিন্তু কে বা কারা আগুন দিয়েছে এখনও আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। ...
নাসার দৈত্যাকার উপগ্রহ আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে! ছড়াচ্ছে চাঞ্চল্য
ভেঙে পড়তে চলেছে নাসার (NASA) ৩৮ বছরের পুরনো কৃত্রিম উপগ্রহ। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাত থেকে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যেই ওই উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়বে বলেই জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। তবে আদৌ কি এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে? এবিষয়ে স্বস্তির উত্তর হল, না। নাসা জানিয়েছে, ওই উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ কারও মাথার উপরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা ৯ হাজার ৪০০-তে ১! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, কোনও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ক্ষীণতর।
তাছাড়া ৫ হাজার ৪০০ পাউন্ড তথা ২ হাজার ৪৫০ কেজির ওই উপগ্রহের অধিকাংশ অংশই মাটিতে পড়ার আগে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। যেটুকু অংশ ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে, তা খুবই কম। ঠিক কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ওই উপগ্রহ? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকা, এশিয়ার মধ্য প্রাচ্য কিংবা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব কিংবা পশ্চিম অংশের কোথাও ভেঙে পড়বে নাসার পরিত্যক্ত উপগ্রহটি।
‘দ্য আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট’ তথা EBRS নামের ওই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। যদিও সেটির কর্মক্ষম থাকার কথা ছিল ২ বছর, তবুও ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা কাজ করে গিয়েছিল উপগ্রহটি। নিয়মিত ওজোন স্তর ও নানা বিষয় নিয়ে তথ্য পাঠিয়ে গিয়েছে ইবিআরএস।
উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। যদিও অধিকাংশ রকেটের ভগ্নাংশ বায়ুম-লের সংস্পর্শে এসে জ্বলেপুড়ে যায় কিংবা সমুদ্রের জলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
সম্প্রতি চিনের মার্চ ৫বি রকেটের ভগ্নাংশ ভেঙে পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এবার আলোচনায় পরিত্যক্ত উপগ্রহ। যদিও তা কারও মাথায় ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা কার্যতই শূন্য, তবু চর্চা রয়েছে নাসার ওই উপগ্রহকে নিয়ে। তথ্যসূত: সংবাদ প্রতিদিন
Ok
ReplyDelete