রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের স্কুলপড়ুয়া ছেলে তওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যা ও বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি লিমন মিয়া (৩৪) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়েছে- পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসির কাছ থেকে লিমন নিজের অভাব-অনটনের কথা বলে মাঝে মধ্যেই টাকাপয়সা নিতেন। এই টাকাপয়সা নেওয়াটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে লিমন মিয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রাত
নাসার দৈত্যাকার উপগ্রহ আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে! ছড়াচ্ছে চাঞ্চল্য
ভেঙে পড়তে চলেছে নাসার (NASA) ৩৮ বছরের পুরনো কৃত্রিম উপগ্রহ। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাত থেকে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যেই ওই উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়বে বলেই জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। তবে আদৌ কি এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে? এবিষয়ে স্বস্তির উত্তর হল, না। নাসা জানিয়েছে, ওই উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ কারও মাথার উপরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা ৯ হাজার ৪০০-তে ১! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, কোনও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ক্ষীণতর।
তাছাড়া ৫ হাজার ৪০০ পাউন্ড তথা ২ হাজার ৪৫০ কেজির ওই উপগ্রহের অধিকাংশ অংশই মাটিতে পড়ার আগে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। যেটুকু অংশ ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে, তা খুবই কম। ঠিক কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ওই উপগ্রহ? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকা, এশিয়ার মধ্য প্রাচ্য কিংবা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব কিংবা পশ্চিম অংশের কোথাও ভেঙে পড়বে নাসার পরিত্যক্ত উপগ্রহটি।
‘দ্য আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট’ তথা EBRS নামের ওই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। যদিও সেটির কর্মক্ষম থাকার কথা ছিল ২ বছর, তবুও ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা কাজ করে গিয়েছিল উপগ্রহটি। নিয়মিত ওজোন স্তর ও নানা বিষয় নিয়ে তথ্য পাঠিয়ে গিয়েছে ইবিআরএস।
উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। যদিও অধিকাংশ রকেটের ভগ্নাংশ বায়ুম-লের সংস্পর্শে এসে জ্বলেপুড়ে যায় কিংবা সমুদ্রের জলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
সম্প্রতি চিনের মার্চ ৫বি রকেটের ভগ্নাংশ ভেঙে পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এবার আলোচনায় পরিত্যক্ত উপগ্রহ। যদিও তা কারও মাথায় ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা কার্যতই শূন্য, তবু চর্চা রয়েছে নাসার ওই উপগ্রহকে নিয়ে। তথ্যসূত: সংবাদ প্রতিদিন

Ok
ReplyDelete