'Deloid Rotifer' survives 24,000 years after hiding under snow in Siberia Skip to main content

Featured Post

Most of Trump's tariffs are illegal, US appeals court rules

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের অধিকাংশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির আপিল আদালত। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে রিপাবলিকান নেতার প্রধানতম হাতিয়ার এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ ভোটে দেওয়া এই রায়ে এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা, মেক্সিকোর ওপর আরোপিত আরেক দফা শুল্কের বৈধতা নিয়ে রায় দিয়েছে। রায়ের পক্ষে মত দেওয়া সাত বিচারপতির ছয়জন ডেমোক্র্যাট আর একজন রিপাবলিকান আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আর রায়ের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের মধ্যে দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবালিকান প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন। অ বশ্য, অন্য আইনি কর্তৃপক্ষ আরোপিত শুল্ক, যেমন ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক, এই রায়ের প্রভাব নেই। হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ককে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল ভিত্তি বানিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। ইচ্ছেমতো এই হাতিয়ার ব্যবহার করে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদ...

'Deloid Rotifer' survives 24,000 years after hiding under snow in Siberia

 লুকিয়ে ছিল সাইবেরিয়ায় বরফের নীচে, ২৪ হাজার বছর পর বেঁচে উঠল ‘ডেলয়েড রটিফার’


পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক কিছুই লুকিয়ে থাকে যা আবিষ্কারের পর স্তম্ভিত হয়ে পড়ে বিশ্ববাসী। মাটির গভীর অন্ধকার থেকে এমনই এক অজানার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।সেই ‘ডেলয়েড রটিফার’ নিয়ে অনবরত গবেষণা করছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। গবেষণার ফলে বহু না জানা তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। মাটির গভীর অন্ধকার থেকে এমনই এক অজানার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।সেই ‘ডেলয়েড রটিফার’ নিয়ে অনবরত গবেষণা করছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। গবেষণার ফলে বহু না জানা তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। গবেষণার মাধ্যমে লক্ষ করা গিয়েছে যে, হিমাঙ্কের অনেক নীচের তাপমাত্রাতেও ডেলয়েড রটিফার বেঁচে থাকতে পারে। হাতেনাতে তার প্রমাণও পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রাশিয়ার সুদূর উত্তরে ইয়াকুতিয়া নামে একটি জায়গায় গবেষণা করছিলেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা।

সেখানকার আালাজেয়া নদীর মাটি থেকে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ডেলয়েড রটিফার নামে এক অদ্ভুত প্রাণীর। ডেলয়েড রটিফারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল যে, তারা ভয়ঙ্কর পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে। মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই প্রাণীটিকে পরীক্ষা করার জন্য রাখা হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, বরফের মধ্যে ভয়ঙ্কর ঠান্ডায় ডেলয়েড রটিফার টানা দশ বছর বেঁচেছিল। রটিফারের উপর গবেষণা নিয়ে পরবর্তী ধাপেও গিয়েছিলেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। 

ঠিক কতটা প্রতিকুল পরিবেশে এই প্রাণীটি বেঁচে থাকে তা পরখ করে দেখতে চাইছিলেন তাঁরা। সাইবেরিয়ার বরফের পুরু আস্তরণের নীচে ১১ ফুট ভিতর থেকে ডেলয়েড রটিফারের সন্ধান পাওয়া যায়। এই পরিবেশেও ডেলয়েড গুলি বহাল তবিয়তে বেঁচে ছিল। ডেলয়েড রটিফারের সঙ্গে নেমাটোড এবং রাউন্ডওয়ার্মও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ৩.৫ মিটার তলায় জীবন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ডেলয়েড রটিফার। গবেষণা করে দেখা যায়, ডেলয়েড রটিফারের বয়স ২৩ হাজার ৯৬০ থেকে ২৪ হাজার ৪৮৫ বছরের মধ্যে। ডেলয়েড রটিফারের দেহের আকার যতটা ক্ষুদ্র, সেই তুলনায় তার দৈহিক বৈশিষ্ট্য অনেক বেশি জটিল। ডেলয়েড রটিফার একটি বহুকোষী প্রাণী। দেহের আকার কয়েক মাইক্রোমিটার হলেও দেহে মস্তিষ্ক, মুখমÐল, পাকস্থলী, মাংসপেশি এমনকি জননতন্ত্রও উপস্থিত। সাধারণত, আর্দ্র পরিবেশে ডেলয়েড রটিফারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 

জলজ পরিবেশ ছাড়াও গাছের ডালে খোঁজ পাওয়া যায় ডেলয়েড রটিফারের। কোষের ভিতর কোনও ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিজে থেকেই তা সারিয়ে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে ডেলয়েড রটিফারের। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে রটিফার এই অসাধ্যসাধন করে তা এখনও অজানা। অযৌন জনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বংশবৃদ্ধি করে ডেলয়েড রটিফার। এমনকি, ডেলয়েড রটিফারকে মহাকাশেও পাঠানো হয়েছে। সেখানকার পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে কি না, তা নিয়েও পরীক্ষা চলছে। তবে, এই অণুজীবের অনেক বৈশিষ্ট্যই এখনও রহস্যে মোড়া। তারা আর কী কী অসাধ্যসাধন করতে পারে তা-ই দেখার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

Trump criticized for controversial comments again

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সব সুইং স্টেটে এগিয়ে ট্রাম্প বিশ্বের সব দেশ এখন নজর রাখছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  এবারের নির্বাচনে চমক দেখিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন?  নাকি ইতিহাস সৃষ্টি করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট হবেন?  এর উত্তর নির্ধারিত হতে পারে কিছু রাজ্যের ফলাফলে।  এগুলো ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত।  এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি স্টেটে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে সুইং স্টেটের দিকে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটলাস ইন্টেল পরিচালিত জরিপের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সব সুইং স্টেটে জনমত জরিপে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প  জরিপে প্রায় ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন, তারা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।  সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, সুইং স্টেটগুলোতে ডেমোক্...

The country's largest Friday prayer was held at Biswa Ijtema Maidan in Tongi

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ  মাওলানা সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার শুরুর দিনটা শুক্রবার পড়েছে। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ।  তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় ইজতেমা ময়দানে জুমার আজান হয়। দেড়টায় শুরু হয় খুতবা।  এরপর ১টা ৫০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৫৫ মিনিটে। জুমার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।  ইজতেমার নিজামউদ্দিন অনুসারী দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  শুক্রবার বাদ ফজর থেকেই দ্বীন, ইমান এবং আখলাকের ওপর ইজতেমার দেশ-বিদেশের শীর্ষ মুরুব্বিরা বয়ান করছেন।  তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ

India is on fire, 40,000 affected by heatstroke, 192 vagrants died in the summer in Delhi!

  দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু! চলতি গ্রীষ্ম রেকর্ড গরমের সাক্ষী হয়েছে ভারত। দাবদাহের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে। দাউদাউ গরমে গত তিন দিনে কেবল দিল্লি, নয়ডাতেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  এবার জানা গেল, গত সাড়ে তিন মাসে তপ্ত কড়াইয়ের ভারতে ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন!  অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, ১১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে গরমে ১৯২ জন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে।  এদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। উত্তর ও মধ্য ভারত যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক, তখন অসম-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  আবহ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার ভয়ংকরতম গ্রীষ্মের সাক্ষী গোটা এশিয়াই। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে।  জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানব সভ্যতা। আরও ভালো করে বললে ‘উন্নয়ন’। গত মার্চের পর থেকেই ক্রমশ অসহনীয় হয়েছে উঠেছে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপামাত্রা।  সূর্যের লেলিহান উনুনে পুড়ে আকাশে উড়তে উড়তে বহু পাখির মৃত্যু হচ্...