বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
‘সুন্দরী’ উট প্রতিযোগিতায়, জয়ী হলো ইরাকের উট
সৌদিতে হয়ে গেলো ‘কিং আব্দুল আজিজ ক্যামেলস ফেস্টিভ্যাল।’ এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩২টিরও বেশি উট। তবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ইরাকের উট। গত রোববার প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ১৫টি উট অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৯টি ইরাকের, ২টি মিশরের এবং ইয়েমেন, লিবিয়া, ব্রিটেন ও ভারতের ১টি করে। ইরাকের ওয়াতবান জাবো আব্বাস আল-রাফি প্রথম হওয়ায় খুবই আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি সম্মানিত এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই উৎসব আজ অনেক দেশের অংশগ্রহণে একটি বৈশ্বিক ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।’ লিবিয়া থেকে উট নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন আহমেদ মোহাম্মদ আম্মা কুনেইদি। তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন। মিশরের আমর মোহাম্মদ শেবল আল-জারিয়া এবং লোতফি আল-সাইদ ফৌদা তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছেন। ইরাকের আরেকজন আবদুল্লাহ বিন দাহি আল-তোবি পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন সুন্দরী প্রেতিযোগিতায়। লিবিয়ার উট মালিক সমিতির প্রধান আহমেদ মোহাম্মদ বলেন, তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন কারণ তরুণদের আরব ঐতিহ্যের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি উৎসবের দায়িত্বে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এই প্রতিযোগিতা অন্যান্য দেশের থেকে আলাদা কারণ সমস্ত আরবদের হৃদয়ে প্রিয় এই উৎসব এবং আরব ভূমি, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্রিটেনের ডেনিস ব্যামফোর্ড বলেন ‘একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে’ কারণ তিনি তার উট ডেরি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেছেন। ব্যামফোর্ড বলেন, তিনি নিজেকে একজন সৌদির মতো অনুভব করছিলেন। তিনি জানান, গতবছর এক বন্ধুর সঙ্গে উৎসবে গিয়েছিলেন এবং আরবের পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রতি মুগ্ধ হয়েছিলেন। ইয়েমেনি নাগরিক ওসামা সাইদ আল-জুহাইরি উট নিয়ে এসেছিলেন প্রতিযোগিতায়। তিনি বলেন, এই ইভেন্টটি বিশ্বব্যাপী আরব ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আজ, আমরা ক্যামেল ক্লাবের সভাপতি শেখ ফাহাদ বিন ফালাহ বিন হাতলিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই ইভেন্টে অংশ নিই। কিং আব্দুল আজিজ উট ফেস্টিভ্যাল হলো একটি সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন যা প্রতি বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি ক্যামেল ক্লাবের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় সৌদির মূল্যমান একশ মিলিয়ন অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। মধ্যপ্রচ্য তথা উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে উটের গুরুত্ব অপরিসীম। এ অঞ্চলে শত-সহস্র বছর ধরে মাংস ও পরিবহনের জন্য, এমনকি যুদ্ধে উট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উট সৌদি আরবের জাতীয় পশুও উট। তথ্যসূত্র: আরব নিউজ, জাগোনিউজ

Thanks mama
ReplyDelete