চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি পুড়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ আগুন লেগে পুড়ে গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। বাঙালি জাতির ঐতিহ্যগত প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখের অন্যতম একটি আয়োজন শোভাযাত্রা। এবছর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে। আর জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রায় বহনের জন্য অন্যতম বড় একটি মোটিফ বানানো হচ্ছিল, যাকে বলা হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর উচ্চতা ছিল ২০ ফুট। প্রক্টর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’র মোটিফটির সঙ্গে ‘শান্তির পায়রা’র একটি মোটিফও পুড়ে গেছে। কিন্তু কে বা কারা আগুন দিয়েছে এখনও আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। ...
‘সুন্দরী’ উট প্রতিযোগিতায়, জয়ী হলো ইরাকের উট
সৌদিতে হয়ে গেলো ‘কিং আব্দুল আজিজ ক্যামেলস ফেস্টিভ্যাল।’ এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩২টিরও বেশি উট। তবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ইরাকের উট। গত রোববার প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ১৫টি উট অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৯টি ইরাকের, ২টি মিশরের এবং ইয়েমেন, লিবিয়া, ব্রিটেন ও ভারতের ১টি করে। ইরাকের ওয়াতবান জাবো আব্বাস আল-রাফি প্রথম হওয়ায় খুবই আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি সম্মানিত এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই উৎসব আজ অনেক দেশের অংশগ্রহণে একটি বৈশ্বিক ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।’ লিবিয়া থেকে উট নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন আহমেদ মোহাম্মদ আম্মা কুনেইদি। তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন। মিশরের আমর মোহাম্মদ শেবল আল-জারিয়া এবং লোতফি আল-সাইদ ফৌদা তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছেন। ইরাকের আরেকজন আবদুল্লাহ বিন দাহি আল-তোবি পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন সুন্দরী প্রেতিযোগিতায়। লিবিয়ার উট মালিক সমিতির প্রধান আহমেদ মোহাম্মদ বলেন, তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন কারণ তরুণদের আরব ঐতিহ্যের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি উৎসবের দায়িত্বে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এই প্রতিযোগিতা অন্যান্য দেশের থেকে আলাদা কারণ সমস্ত আরবদের হৃদয়ে প্রিয় এই উৎসব এবং আরব ভূমি, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্রিটেনের ডেনিস ব্যামফোর্ড বলেন ‘একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে’ কারণ তিনি তার উট ডেরি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেছেন। ব্যামফোর্ড বলেন, তিনি নিজেকে একজন সৌদির মতো অনুভব করছিলেন। তিনি জানান, গতবছর এক বন্ধুর সঙ্গে উৎসবে গিয়েছিলেন এবং আরবের পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রতি মুগ্ধ হয়েছিলেন। ইয়েমেনি নাগরিক ওসামা সাইদ আল-জুহাইরি উট নিয়ে এসেছিলেন প্রতিযোগিতায়। তিনি বলেন, এই ইভেন্টটি বিশ্বব্যাপী আরব ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আজ, আমরা ক্যামেল ক্লাবের সভাপতি শেখ ফাহাদ বিন ফালাহ বিন হাতলিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই ইভেন্টে অংশ নিই। কিং আব্দুল আজিজ উট ফেস্টিভ্যাল হলো একটি সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন যা প্রতি বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি ক্যামেল ক্লাবের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় সৌদির মূল্যমান একশ মিলিয়ন অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। মধ্যপ্রচ্য তথা উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে উটের গুরুত্ব অপরিসীম। এ অঞ্চলে শত-সহস্র বছর ধরে মাংস ও পরিবহনের জন্য, এমনকি যুদ্ধে উট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উট সৌদি আরবের জাতীয় পশুও উট। তথ্যসূত্র: আরব নিউজ, জাগোনিউজ
Thanks mama
ReplyDelete