দক্ষিণ সুদানে অপুষ্টির ঝুঁকিতে ৬০ হাজার শিশু: জাতিসংঘ দক্ষিণ সুদানে নীলনদের উপকূলে লড়াই চলার কারণে মারাত্মক খাদ্য ঝুঁকিতে আছে অন্তত ৬০ হাজার শিশু। বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতিসংঘের দুটি ভিন্ন সংস্থা বলেছে, চলমান সংঘাতের কারণে দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলে প্রায় মাসখানেক ধরে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো ব্যাহত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ইউনিসেফ জানিয়েছে, নীলনদের উজানের দিকের অঞ্চলে চলতি মাসেই খাবার সংকট দেখা দেবে বলে তাদের আশঙ্কা রয়েছে। অথচ দক্ষিণ সুদানের ওই অংশেই অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ। সংস্থা দুটির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও সংকটে শিশুরাই প্রথম ভুক্তভোগী হয়। তা প্রতিহত করতে আমাদের উচিত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। নইলে খাদ্য ঘাটতির কারণে ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর হয়ে পড়া এলাকায় অপুষ্টির মাত্রা মারাত্মক আকার ধারণ করবে। দক্ষিণ সুদানে অল্পই পাকা রাস্তায় রয়েছে। আর কাচা রাস্তাগুলো বর্ষাকালে চলাচলের অনেকটা অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে, দেশটির যোগাযোগব্যবস্থায় নীলনদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত মাসের ম...
নাসার দৈত্যাকার উপগ্রহ আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে! ছড়াচ্ছে চাঞ্চল্য
ভেঙে পড়তে চলেছে নাসার (NASA) ৩৮ বছরের পুরনো কৃত্রিম উপগ্রহ। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাত থেকে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যেই ওই উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়বে বলেই জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। তবে আদৌ কি এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে? এবিষয়ে স্বস্তির উত্তর হল, না। নাসা জানিয়েছে, ওই উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ কারও মাথার উপরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা ৯ হাজার ৪০০-তে ১! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, কোনও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ক্ষীণতর।
তাছাড়া ৫ হাজার ৪০০ পাউন্ড তথা ২ হাজার ৪৫০ কেজির ওই উপগ্রহের অধিকাংশ অংশই মাটিতে পড়ার আগে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। যেটুকু অংশ ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে, তা খুবই কম। ঠিক কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ওই উপগ্রহ? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকা, এশিয়ার মধ্য প্রাচ্য কিংবা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব কিংবা পশ্চিম অংশের কোথাও ভেঙে পড়বে নাসার পরিত্যক্ত উপগ্রহটি।
‘দ্য আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট’ তথা EBRS নামের ওই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। যদিও সেটির কর্মক্ষম থাকার কথা ছিল ২ বছর, তবুও ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা কাজ করে গিয়েছিল উপগ্রহটি। নিয়মিত ওজোন স্তর ও নানা বিষয় নিয়ে তথ্য পাঠিয়ে গিয়েছে ইবিআরএস।
উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। যদিও অধিকাংশ রকেটের ভগ্নাংশ বায়ুম-লের সংস্পর্শে এসে জ্বলেপুড়ে যায় কিংবা সমুদ্রের জলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
সম্প্রতি চিনের মার্চ ৫বি রকেটের ভগ্নাংশ ভেঙে পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এবার আলোচনায় পরিত্যক্ত উপগ্রহ। যদিও তা কারও মাথায় ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা কার্যতই শূন্য, তবু চর্চা রয়েছে নাসার ওই উপগ্রহকে নিয়ে। তথ্যসূত: সংবাদ প্রতিদিন
Ok
ReplyDelete