বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
বোমা মেরে চাঁদ উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র!
কবিরা যুগ যুগ ধরে চাঁদ নিয়ে কবিতা লিখেছেন। গীতিকারেরা রচনা করেছেন অসংখ্য হূদয়কাড়া গান। প্রেমিকরা চাঁদকে সাক্ষী রেখে প্রেমিকার হাত ধরে করেন ভালোবাসার প্রতিজ্ঞা। অনাদিকাল থেকে মানুষ মন খারাপ হলে ঘরের জানালা দিয়ে অথবা বাইরে বসে চাঁদ দেখে মনের দুঃখ দূর করে। ‘চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা’ ছড়া শুনতে শুনতে এই উপগ্রহটির সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই গড়ে ওঠে এক নিবিড় আত্মীয়তার বন্ধন। অথচ জানেন কী ১৯৫৮ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র একবার পারমাণবিক বোমা মেরে চাঁদ ‘উড়িয়ে’ দিতে চেয়েছিল!
এটা মোটেও আষাঢ়ে গল্প নয়, শতভাগ সত্যি। সোভিয়েত যুগের শীতল যুদ্ধের সময়ে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দিতে নিজের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অত্যন্ত গোপনীয় এই পরিকল্পনার নাম ছিল ‘এ স্টাডি অব লুনার রিসার্চ ফ্লাইটস’ যা প্রজেক্ট এ১১৯ নামে পরিচিত। এই প্রজেক্টের মূল ব্যক্তি ছিলেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ড. লিওনার্ড রাইফেল। ৭৩ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি মার্কিন পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে বিষয়টি খোলাসা করেন। তিনি বলেন, চাঁদকে আসলে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ছিল সেখানে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশ্বের কাছে ক্ষমতা প্রদর্শন করা। বিশেষ করে তত্কালীন রাশিয়াকে ঘাবড়ে দেওয়া।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মনে হচ্ছিল, রাশিয়ার কাছে মহাকাশ জয়ের দৌড়ে তারা পিছিয়ে পড়ছে। তাই চাঁদের বুকে বোমা ফাটিয়ে এমন মাশরুম ক্লাউড তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল যেটা পৃথিবী থেকে দেখা যাবে। বিশ্ববাসী যখন পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে এই বিস্ফোরণ দেখত তখন সবার মনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতার ব্যাপারে সমীহ তৈরি হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল সেই সাইজের বোমা দিয়েই কাজটা সফলভাবে করা যেত বলে সাক্ষাত্কারে রাইফেল উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে বলেছিলাম যে, এটা বিশাল ব্যয়বহুল হবে এবং চাঁদের মাটিতে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাবে। সরাসরি চাঁদে গিয়ে গবেষণা করা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু তারা সেটি শুনতে চায়নি।’ চাঁদে পারমাণবিক বোমা পাঠিয়ে সেটি কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব সেই কৌশল ফাঁস করতে তিনি রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদের যে বিন্দুতে আঘাত করার টার্গেট করেছিলাম সেখান থেকে বড়জোর দুই এক মাইল এদিক সেদিক হতো।’ দ্য গার্ডিয়ান

Comments
Post a Comment