মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের অধিকাংশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির আপিল আদালত। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে রিপাবলিকান নেতার প্রধানতম হাতিয়ার এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ ভোটে দেওয়া এই রায়ে এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা, মেক্সিকোর ওপর আরোপিত আরেক দফা শুল্কের বৈধতা নিয়ে রায় দিয়েছে। রায়ের পক্ষে মত দেওয়া সাত বিচারপতির ছয়জন ডেমোক্র্যাট আর একজন রিপাবলিকান আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আর রায়ের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের মধ্যে দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবালিকান প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন। অ বশ্য, অন্য আইনি কর্তৃপক্ষ আরোপিত শুল্ক, যেমন ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক, এই রায়ের প্রভাব নেই। হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ককে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল ভিত্তি বানিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। ইচ্ছেমতো এই হাতিয়ার ব্যবহার করে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদ...
বোমা মেরে চাঁদ উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র!
কবিরা যুগ যুগ ধরে চাঁদ নিয়ে কবিতা লিখেছেন। গীতিকারেরা রচনা করেছেন অসংখ্য হূদয়কাড়া গান। প্রেমিকরা চাঁদকে সাক্ষী রেখে প্রেমিকার হাত ধরে করেন ভালোবাসার প্রতিজ্ঞা। অনাদিকাল থেকে মানুষ মন খারাপ হলে ঘরের জানালা দিয়ে অথবা বাইরে বসে চাঁদ দেখে মনের দুঃখ দূর করে। ‘চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা’ ছড়া শুনতে শুনতে এই উপগ্রহটির সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই গড়ে ওঠে এক নিবিড় আত্মীয়তার বন্ধন। অথচ জানেন কী ১৯৫৮ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র একবার পারমাণবিক বোমা মেরে চাঁদ ‘উড়িয়ে’ দিতে চেয়েছিল!
এটা মোটেও আষাঢ়ে গল্প নয়, শতভাগ সত্যি। সোভিয়েত যুগের শীতল যুদ্ধের সময়ে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দিতে নিজের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অত্যন্ত গোপনীয় এই পরিকল্পনার নাম ছিল ‘এ স্টাডি অব লুনার রিসার্চ ফ্লাইটস’ যা প্রজেক্ট এ১১৯ নামে পরিচিত। এই প্রজেক্টের মূল ব্যক্তি ছিলেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ড. লিওনার্ড রাইফেল। ৭৩ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি মার্কিন পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে বিষয়টি খোলাসা করেন। তিনি বলেন, চাঁদকে আসলে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ছিল সেখানে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশ্বের কাছে ক্ষমতা প্রদর্শন করা। বিশেষ করে তত্কালীন রাশিয়াকে ঘাবড়ে দেওয়া।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মনে হচ্ছিল, রাশিয়ার কাছে মহাকাশ জয়ের দৌড়ে তারা পিছিয়ে পড়ছে। তাই চাঁদের বুকে বোমা ফাটিয়ে এমন মাশরুম ক্লাউড তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল যেটা পৃথিবী থেকে দেখা যাবে। বিশ্ববাসী যখন পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে এই বিস্ফোরণ দেখত তখন সবার মনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতার ব্যাপারে সমীহ তৈরি হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল সেই সাইজের বোমা দিয়েই কাজটা সফলভাবে করা যেত বলে সাক্ষাত্কারে রাইফেল উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে বলেছিলাম যে, এটা বিশাল ব্যয়বহুল হবে এবং চাঁদের মাটিতে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাবে। সরাসরি চাঁদে গিয়ে গবেষণা করা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু তারা সেটি শুনতে চায়নি।’ চাঁদে পারমাণবিক বোমা পাঠিয়ে সেটি কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব সেই কৌশল ফাঁস করতে তিনি রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদের যে বিন্দুতে আঘাত করার টার্গেট করেছিলাম সেখান থেকে বড়জোর দুই এক মাইল এদিক সেদিক হতো।’ দ্য গার্ডিয়ান
Comments
Post a Comment