পরিবহন শ্রমিকদের কর্মসূচী চলছে, বাড়ছে ভোগান্তি
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি আজ সোমবারও চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভোগান্তিও। যথারীতি ব্যক্তিগত যানবাহন ও বিআরটিসির দু’একটা বাস চললেও বন্ধ রয়েছে অন্যসব গণপরিবহন।
আন্তঃনগর বাসগুলোও চলছে না। তবে এদিন রাজধানীর বাস স্টপেজগুলোতে গতদিনের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। বেশ কয়েকটি রুটে চলতে শুরু করেছে লেগুনা, যেগুলো গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। কর্মসূচির প্রথম দিন গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বিশেষ করে বাস টার্মিনালগুলোর আশপাশে কর্মবিরতির সমর্থনে পরিবহন শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ চোখে পড়ে।
যাত্রী ও চালকের মুখে, কাপড়ে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পায়নি কলেজ শিক্ষার্থী ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও। ছাড় পায়নি সচিবালয়ের গাড়িও। বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাস, ট্রাক পথে আটকে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তবে আজ এখনো এসব কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই মুহূর্তে সড়ক পরিবহন আইন পরিবর্তন করে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়া সম্ভব না। অন্যদিকে ধর্মঘটের নামে পরিবহন শ্রমিকরা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য শক্ত-হাতে দমন করা হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইন না বুঝেই পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট করছেন। তিনিও শ্রমিকদেরকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহবান জানান। অপরদিকে আইন সংশোধনের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের সঙ্গে না বসা পর্যন্ত সারা দেশে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। যদি দাবি পূরণ করা হয়, তাহলে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কি আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী লোক? ২০১৩-১৪ সালে কি আমরা জীবন দিয়ে বিরোধীদলের অবরোধ ঠেকাই নাই? কারও সঙ্গে আমাদের বিরোধ নাই।
অন্যদিকে, পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মকবুল আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা কর্মবিরতি সমর্থন করি না। কারণ যেদিন আইনটি পাস হয় সেদিন শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের দুই শীর্ষ নেতা (নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা) সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু তারা সেদিন কোনো ধরনের প্রতিবাদ করেননি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণকে কষ্ট দেওয়ার এই কর্মসূচি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।
Comments
Post a Comment