Skip to main content

Featured Post

The temperature may drop from Wednesday

  বুধবার থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা বুধবার (১ মে) থেকে তাপমাত্রা কমে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবার ছিল চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সবচেয়ে গরমতম দিন।  সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়, এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকাতেও ছিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।  গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন।  আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।  এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।  এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বা

গ্রেনেড হামলার রায়ের আগে মাঠ ছাড়ছে না আ.লীগ

গ্রেনেড হামলার রায়ের আগে মাঠ ছাড়ছে না আ.লীগ

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের আগে রাজপথ নিজেদের সক্রিয় অবস্থান রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এই রায়কে ঘিরে বিএনপি নাশকতার চেষ্টা করতে পারে-এমন সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই কৌশল গ্রহণ করছে ক্ষমতাসীন দল।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিণ্টু। এই আসামিদের সবার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
১৪ বছর আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস এ্ই মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ১০ অক্টোবর এবং এই রায়কে ঘিরে বিএনপিতে উদ্বেগ স্পষ্ট। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারেক রহমানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে দেশবাসী তা মেনে নেবে না।
এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ আগামী ১ অক্টোবর থেকে নেতা-কর্মীদেরকে ‘রেডি থাকতে’ বলেছেন। জানিয়েছেন, সরকার পতনের আন্দোলন সেদিন থেকে শুরু হবে।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, বিএনপি আসলে এই রায়কে ঘিরেই রাজপথে অবস্থান নিশ্চিত করতে চাইছে। আর কর্মীদের নাঠে নামাতেই নানা কর্মসূচির কথা বলছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জানান, সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে, আলোচিত এই মামলার রায়ের আগে ও পরে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো সারাদেশে নাশকতার চেষ্টা করতে পারে বিএনপি। তাই নাশকতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরাও সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
১০ অক্টোবরের রায়ের আগে বিএনপিকে রাজধানীতে সভা সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়। এরই মধ্যে ২৭ ও ২৯ সেপ্টেম্বর অনুমতি চেয়েও পায়নি তারা। এখন ৩০ সেপ্টেম্বর সমাবেশ করতে চায়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের আগেও এভাবেই সতর্ক অবস্থানে ছিল আওয়ামী লীগ। আর সে সময় বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি পালনের অনুমতিও দেয়নি পুলিশ। এক পর্যায়ে যে কোনো ধরনের অবস্থান, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধও করা হয়। যদিও রায়ের পরে বিএনপির বক্তব্য এবং প্রতিক্রিয়া ছিল নমনীয়।


সম্প্রতি এক সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ১৪দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম ঢাকা দখলে রাখার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা এলাকায় প্রস্তুত থাকবেন, অপশক্তি যেন মাঠে নামতে না পারে। ওদের মাঠে প্রতিহত করবেন, রাস্তায় প্রতিহত করবেন।’
নেতা-কর্মীদের নাসিম আরও বলেন, ‘আগামী একটি মাস আপনাদের কোনো কাজ নেই। ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাড়া-মহল্লায় আপনারা সজাগ থাকবেন। কোনো চক্রান্ত বা নৈরাজ্য হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইনশা আল্লাহ আমরা প্রতিহত করব।’
তবে বিএনপিও যেমন মামলার রায়ের বিষয়টি এখনও সামনে আনছে না, তেমনি আওয়ামী লীগও এই রায়কে ঘিরে নিজেদের এই অবস্থানের কথা বলছে না। বরং তারা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করার কথা বলছে।
জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘ইতিমধ্যে আগামী ১ থেকে ৭ অক্টোবরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর পর আরও নতুন কর্মসূচি দিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগের সারাদেশের সব নেতাকর্মী।
বিএনপির পাশাপাশি তাদের সঙ্গে ঐক্যের আলোচনায় থাকা ড. কামাল হোসেনের উদ্যোগ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় শক্তি হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চাওয়া যুক্তফ্রন্টের দিকেওন নজর থাকবে আওয়ামী লীগের।
কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ শনিবার গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে নাগরিক সভার আহ্বান করেছে ১৪ দলীয় জোট। ১ অক্টোবর থেকে সপ্তাহব্যাপী দেশব্যাপী শুরু হবে গণসংযোগ।
নির্বাচনী প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে ক্ষমতাসীন দলের। শুরু হয়েছে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের কাজ। অক্টোবরের মধ্যেই এসব কমিটি গঠন শেষ করার চেষ্টা করা হবে। কিছু কিছু জেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কেন্দ্ররক্ষা কমিটিও গঠন করা হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের মতো বাকি বিভাগগুলোতেও সাংগঠনিক সফর করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলায় জনসভায় করবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফেরার পরই এ দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগে নির্বাচনী ট্রেনযাত্রায় বিপুল সাড়া পেয়েছি। নির্বাচনের আগে রংপুর বিভাগেও একটি নির্বাচনী সফরের চিন্তাভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় কিছু-কিছু জেলায় ঝটিকা সফর করছি। গত মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফর করি। সেখানে তিনটি সংসদীয় আসনে তিনটি জনসভায় অংশ নেই। এসব জনসভায় মূলত দলের নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

Comments

Popular posts from this blog

29 killed in bus ditch in Mexico

  মেক্সিকোতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯ মেক্সিকোর ওহাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ২৯ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।  বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।  মেক্সিকো সিটি থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ওহাকা রাজ্যের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পথে মাগদালেনা পেনাসকো শহরে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেসুস রোমেরোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  খাদে পড়ে যাওয়ার আগে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।  আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে কাছাকাছি একটি শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ৫ জনকে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানী ওহাকা সিটিতে, বলেছেন কর্মকর্তারা।  চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে নিচে পড়ে গেলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।  তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

The Prime Minister handed over Ekushey Padak to 21 people

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)  শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক।  সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।  অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।  ভাষা ও সাহ

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট একেবারে দোড়গোড়ায়। বাকি আর মাত্র তিন দিন। দেশজুড়ে ভোটের উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার মধ্যে নিশ্চিন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কলকাতার আনন্দবাজারকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এবারও আওয়ামী লীগ জিতবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুধাসদন ভবনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জনগনের ভোটেই আমরা আবার নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছেন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৬০০ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভোটও দিয়েছিল। সেই জনগণ আবার আমাদেরই ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ সে সব ভোলেনি। ভোলেনি বলেই ওই সব ঘটনা যে