বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধনেপাতার কাংখিত দাম পাচ্ছে না কৃষক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতকালীন সব্জি ধনেপাতার চাষাবাদ বাড়লেও কাংখিত দাম না পেয়ে কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন। আর এ সব্জি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছে কৃষকরা। জানা গেছে, বর্ষার পানি নেমে যাবার পরপরই চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিতে ধনেপাতার চাষ শুরু করে থাকেন কৃষকরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা ও মহানন্দা বিধৌত চরাঞ্চলের চরবাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর, শাহজাহানপুর, দেবীনগর, ইসলামপুর ও আলাতিুলসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা স্থানীয় জাতের এই ধনেপাতার চাষ করে থাকে। কৃষি বিভাগের মতে স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় ধনে চাষ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১’শ ৮৮ হেক্টর জমিতে, পাশাপাশি ভাল ফলনও হয়েছে । বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা ধনেপাতা ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে প্রান্তিক কৃষক। চরাঞ্চলের ধনেপাতা ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম ও আহসান হাবিব জানান, এখানকার উৎপাদিত স্থানীয় জাতের এই ধনেপাতার চাহিদা থাকলেও, এবছর দাম একেবারে নি¤œপর্যায়ে। বিভিন্ন জেলাতে এর উৎপাদন হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের ধনে পাতার চাহিদা কমে গেছে। তবে, সরাসরি প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ধনেপাতা কিনে লাভবান হচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যাপারীরা। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. জাহাঙ্গীর ফিরোজ জানান, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশী হয়েছে। অক্টোবর মাসে ১ম দিকে কৃষকরা ভাল দাম পেয়েছে। পরবর্তীতে কাংখিত দাম না পেলেও কৃষকরা ৩টি ফসল করে তা পুষিয়ে নিতে পারবে। এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা জানান, ১শ ৮৮ হেক্টর জমিতে ধনেপাতার আবাদ হয়েছে। অল্প পুঁজিতে লাভ বেশী হওয়ায়, ধনেপাতা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে প্রান্তিক চাষীরা। তিনি আরো বলেন, এ বছর উৎপাদন বেশী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতার দাম কমে গেছে।

Comments
Post a Comment