ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে আ.লীগের জয়জয়কার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার দেখা গেছে। বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশের ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ১২২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম জানা গেছে। তাদের মধ্যে ১০১ জনই আওয়ামী লীগের। জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে অনেকেই হয়েছেন বহিষ্কৃত। রাজশাহী বিভাগ : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার, কালাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন, আক্কেলপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকসেদ আলী মণ্ডল, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সজল, সোনাতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন, গাবতলীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অরুণ কান্তি রায়, নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজাহার আলী, পত্নীতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সা
টাঙ্গাইলে শিশু হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড
চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান (৬) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামী আব্দুর রহিম (৩৭) কে মৃত্যুদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে আসামীর উপস্থিতিতে বিচারক মো. শওকত আলী চৌধুরী এই রায় প্রদান করেন। অভিযুক্ত আসামী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামের মো. হাফিজ মিয়ার ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌশুলি এস আকবর খান। তাকে সহযোগিতা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এস আকবর খান বলেন, চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান হত্যা মামলায় আসামী আব্দুর রহিমের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় বাদি, চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জন সাক্ষী প্রদান করেন। আসামী পক্ষ চাইলে ৭ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিল মাগুরাটা গ্রামে ধর্ম সভা (ওয়াজ মাহফিল) অনুষ্ঠিত হয়। সভাস্থলের পাশেই নিহত শিশু জুয়েল হাসানের বাবা শহিদুর রহমান ও মা রোজিনা বেগম চায়ের দোকান করেন। ওই চায়ের দোকানে শিশু জুয়েল হাসানও অংশ নেয়। রাত সাড়ে ১০ দিকে চায়ের থেকে চলে যায় জুয়েল হাসান। পরে রাত ১ টার দিকে ধর্ম সভা শেষ হলেও জুয়েল হাসান আর ফিরে না আসায় বাবা মা জুয়েল হাসানকে খুঁজতে থাকে। পরের দিন সকাল সাড়ে ৯ টায় পাশের এলাকা পিচুরিয়া কবরস্থানের পাশে ধান ক্ষেত থেকে চোখ উপড়ে ফেলানো জুয়েলের রক্তাত্ব লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০ নভেম্বর অজ্ঞাত নামা আসামী করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত জুয়েল হাসানের মা রোজিনা বেগম। ১১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তবার গ্রহণ করে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এস আই মো. ওবাইদুর রহমান। ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল হাসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত আসামী আব্দুর রহিম। পরদিন ৫ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হামিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন আসামী আব্দুর রহীম। স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে আব্দুর রহিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জুয়েল হাসানের মায়ের সাথে অভিযুক্ত আসামী পরকীয়া ছিলো। পরকীয়ায় জুয়েল হাসান সমস্যা করার কারণে জুয়েলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে আসামী আদালতে রয়েছে।
Comments
Post a Comment