বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
টাঙ্গাইলে শিশু হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড
চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান (৬) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামী আব্দুর রহিম (৩৭) কে মৃত্যুদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে আসামীর উপস্থিতিতে বিচারক মো. শওকত আলী চৌধুরী এই রায় প্রদান করেন। অভিযুক্ত আসামী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামের মো. হাফিজ মিয়ার ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌশুলি এস আকবর খান। তাকে সহযোগিতা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এস আকবর খান বলেন, চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান হত্যা মামলায় আসামী আব্দুর রহিমের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় বাদি, চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জন সাক্ষী প্রদান করেন। আসামী পক্ষ চাইলে ৭ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিল মাগুরাটা গ্রামে ধর্ম সভা (ওয়াজ মাহফিল) অনুষ্ঠিত হয়। সভাস্থলের পাশেই নিহত শিশু জুয়েল হাসানের বাবা শহিদুর রহমান ও মা রোজিনা বেগম চায়ের দোকান করেন। ওই চায়ের দোকানে শিশু জুয়েল হাসানও অংশ নেয়। রাত সাড়ে ১০ দিকে চায়ের থেকে চলে যায় জুয়েল হাসান। পরে রাত ১ টার দিকে ধর্ম সভা শেষ হলেও জুয়েল হাসান আর ফিরে না আসায় বাবা মা জুয়েল হাসানকে খুঁজতে থাকে। পরের দিন সকাল সাড়ে ৯ টায় পাশের এলাকা পিচুরিয়া কবরস্থানের পাশে ধান ক্ষেত থেকে চোখ উপড়ে ফেলানো জুয়েলের রক্তাত্ব লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০ নভেম্বর অজ্ঞাত নামা আসামী করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত জুয়েল হাসানের মা রোজিনা বেগম। ১১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তবার গ্রহণ করে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এস আই মো. ওবাইদুর রহমান। ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল হাসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত আসামী আব্দুর রহিম। পরদিন ৫ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হামিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন আসামী আব্দুর রহীম। স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে আব্দুর রহিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জুয়েল হাসানের মায়ের সাথে অভিযুক্ত আসামী পরকীয়া ছিলো। পরকীয়ায় জুয়েল হাসান সমস্যা করার কারণে জুয়েলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে আসামী আদালতে রয়েছে।

Comments
Post a Comment