বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
‘ঐক্য বিএনপির সঙ্গে, ২০ দল নয়’জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশ থেকে বৃহত্তর যে ঐক্যের ঘোষণা এসেছে, সেখানে স্বাধীনতাবিরোধী নেতার দলের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে নতুন ব্যাখ্যা এসেছে গণফোরামের পক্ষ থেকে। দলটির মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, তারা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়তে যাচ্ছেন, তাদের কোনো শরিক দলের সঙ্গে নয়।
বছর দুয়েক আগে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বান জানান। আর বিএনপি সরকারবিরোধী যে ঐক্য গড়তে চাইছে, তাকে তারা বলছে জাতীয় ঐক্য। এই দুই ঐক্যচেষ্টা এক বিন্দুতে মেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে শনিবার। সেদিন ড. কামাল হোসেনের ডাকে সমাবেশে তৃতীয় শক্তি হওয়ার ঘোষণা দেয়া যুক্তফ্রন্ট, বিএনপি, তার বেশ কয়েকটি শরিক দলের নেতারা এক মঞ্চে বক্তব্য দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিএনপির যেসব দাবি রয়েছে, সেগুলোই সামনে এনে বক্তব্য রাখেন সবগুলো দলের নেতারা। আর ১ অক্টোবর থেকে একযোগে কর্মসূচির ঘোষণাও এসেছে।
এই ঐক্যের আলোচনা যবে থেকে শুরু হয়, সেদিন থেকে বলা হচ্ছিল, স্বাধীনতাবিরোধী দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোনো সমঝোতা হবে না। তবে শনিবারের সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের পর দালাল আইনে সাজা পাওয়া মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের দল খেলাফত মজলিসের উপস্থিতি এই ঘোষণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
আবার যুক্তফ্রন্টের প্রধান দল বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করা বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের একজন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনিও আত্মসমর্পণ করেন আর যুদ্ধবন্দি হিসেবে ভারত নেয়া হয় তাকে। পরে ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান।
আবার স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপি সম্পর্ক রাখবে না-এমন কোনো ঘোষণাও আসেনি। আর এই সিদ্ধান্ত বিএনপি নিতে যাচ্ছে-তেমন আভাসও নেই।
তাহলে কি স্বাধীনতাবিরোধীদের বিষয়ে দেয়া ঘোষণা থেকে গণফোরাম সরে এসেছে?- প্রশ্ন ছিল দলের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টুর কাছে। তিনি বলেন, ‘না, তা হবে কেন? জামায়াতকে সাথে নিয়ে আমাদের কোনো ঐক্য হবে না। শনিবারের সমাবেশে বিএনপির সাথে আমাদের কথা হয়েছে, ২০ দলীয় শরিকদের কারো সাথে আমাদের কথা হয় নাই। তবে শরিকদের মধ্যে কেউ কেউ এসেছিলেন।’
মন্টু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের অগণতান্ত্রিক কোনো শক্তির সাথে আমাদের ঐক্য হবে না। আগামীতে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সাথে আমাদের ঐক্য হবে।’

Comments
Post a Comment