বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
পায়ে লিখে বিসিএসে অংশ নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন নোয়াখালীর প্রতিবন্ধী শারমিন
মাধ্যমিক শ্রেণী পাশ করেই নিজ এলাকায় টিউশনি করছেন। দৈনন্দিন সংসারের নানা ধরনের অভাব অনটনের পরেও অদম্য সাহস,প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস,মেধা, মননের ওপর ভর করে জীবন সংগ্রামে থেমে থাকেননি প্রতিবন্ধী যুবতি শারমিন আক্তার।
দরিদ্র্য, দিনমজুর ও কৃষিজীবি পিতা ফিরোজ আলম ও মা বকুল আক্তারের সংসারে ৫ সন্তানের চতুর্থ জন শারমিন জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধি। দু’হাত থেকেও নেই। পুরোপুরিই অকেজো। তাই দু’পায়ের ওপর ভর করেই তার সব ধরনের পথচলা। জানান, স্কুল-কলেজে চলাফেরার ক্ষেত্রে সহযোগি দু’চাচাতো বোনের কিছুটা সহযোগিতা পান।
একমাত্র ভাই রাশেদ খান ঢাকায় সায়েদাবাদে গাড়ি মেরামত করার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বোনদের মধ্যে বড় দু’বোনের বিয়ে হয়েছে। রাশেদ জানান, পরিবারের একমাত্র প্রতিবন্ধী বোনের চাকুরি-বাকুরির ব্যবস্থা হলে একটু স্বস্তির নি:শ^াস টানতে পারবেন। এ নিয়েই তাদের যত দুশ্চিন্তা আর ভাবনা।
শারমিন নোয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে লেখাপড়ার খরচ হিসেবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। এজন্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যত বির্নিমাণে একটি সুদৃঢ় নিশ্চয়তা প্রত্যাশা করছেন।
শারমিন নোয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে লেখাপড়ার খরচ হিসেবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। এজন্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যত বির্নিমাণে একটি সুদৃঢ় নিশ্চয়তা প্রত্যাশা করছেন।
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ¦রামপুর গ্রামের লাল মিয়া কেরানী বাড়ির প্রতিবন্ধী শারমিন আক্তার নোয়াখালী সরকারী বিশ^বিদ্যালয় কলেজ থেকে চলতি বছরের দর্শন অনার্স শাস্ত্রের ফলাফল প্রার্থী। অনার্স চুড়ান্ত পর্বের ফলাফল না পাওয়ার এ সময়েও বেকার বসে থাকেননি তিনি। শিখছেন কম্পিউটার।
বলেছেন, পরিবারের সবার অকৃত্রিম ভালবাসা, সহযোগিতা ও সাহসের কারণে তার মনোবল তাকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।
শারমিন দু’পায়ের মধ্যে ডান পায়ে লিখছেন। পায়ের লিখা অত্যন্ত সারিবদ্ধ ও সুন্দর না বলে পারেননা সহশিক্ষার্থীরা। একই শ্রেণীর প্রিয়া স্মরনী জানান, সে হাত দিয়ে লিখতে পারলে টাইপিং বলা যেতো তার লিখাকে।
শারমিন দু’পায়ের মধ্যে ডান পায়ে লিখছেন। পায়ের লিখা অত্যন্ত সারিবদ্ধ ও সুন্দর না বলে পারেননা সহশিক্ষার্থীরা। একই শ্রেণীর প্রিয়া স্মরনী জানান, সে হাত দিয়ে লিখতে পারলে টাইপিং বলা যেতো তার লিখাকে।
শারমিন জানান, রাজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিলেও পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে মানবিকে ভর্র্ত্তি হয়েছেন। লিখার গতি আরো দ্রুত থাকলে বিজ্ঞান বিভাগের ধারাবাহিকতা সহজে রক্ষা করা যেতো বলে মনে করছেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, স্মাতকোত্তর ডিগ্রী শেষে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেবেন। শারমিন বলেন, তিনি দেশবাসীকে জানাতে চান শাররিক সমস্যা নিয়েও তিনি মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সংগ্রাম করছেন। তিনি বুঝাতে চান, প্রতিবন্ধিতাও কোন সমস্যা নয়, যদি তা জয় করা যায়।

Comments
Post a Comment