বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ রেসিপ্রোকাল (পাল্টা) শুল্ক স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে চূড়ান্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। আগামী ৯ জুলাই এই শুল্কের স্থগিতাদেশ শেষ হতে যাচ্ছে। এর আগে চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসছে অন্তর্বর্তী সরকার। বা ণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দফতর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ন্যায্য একটি বাণিজ্য চুক্তির আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে সীমিত রাখার প্রস্তাব তুলে ধরে। আগামী ২৯ জুন এই বিষয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ র আগে, ১২ জুন দুই দেশের মধ্যে একটি ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়, যার আওতায় প্রস্তাবিত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ চুক্তির খসড়া বাংলাদেশের কাছে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ তার জবাব পাঠিয়েছে ২...
টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার বর্ষপূতি আজ
বিশ্ব কাঁপানো নাইন-ইলেভেনে হামলার বর্ষপূর্তি আজ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ১৭তম বার্ষিকী।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ছিনতাই হওয়া দুটি যাত্রীবাহী বিমানের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় পাশাপাশি থাকা দুটি সুউচ্চ ভবন, যা টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত ছিল। একদল জঙ্গিবাদী একযোগে দুটি বিমান নিয়ে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ওই হামলা চালায়। তাতে স্তম্ভিত হয় গোটা বিশ্ব।
শুধু তাই নয়, সেদিনই হামলা হয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনেও। এ ছাড়া আরেকটি বিমান নিয়ে ওয়াশিংটনে হামলার চেষ্টা চালানো হলেও সফল হতে পারেনি ছিনতাইকারীরা। বিমানটির যাত্রীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ওই হামলা ব্যর্থ হলেও নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেননি যাত্রীরা। তাদের নিয়েই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় পেনসিলভেনিয়ার একটি মাঠে।
টুইন টাওয়ারের ওই হামলায় প্রাণ হারায় প্রায় তিন হাজার মানুষ। নষ্ট হয়েছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ ও অবকাঠামো।
যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তার ভূখণ্ডে প্রথম শত্রু হামলা বিবেচনা করে থাকে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী শুরু হয় ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’।
যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ওই হামলায় সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদাকে অভিযুক্ত করে সংগঠনটিকে ধ্বংস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের টানা ও সংঘবদ্ধ হামলায় আল-কায়েদার শক্তিমত্তা বহুলাংশে ধ্বংস হয়ে যায়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর হামলায় নিহত হন।
Comments
Post a Comment