রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের স্কুলপড়ুয়া ছেলে তওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যা ও বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি লিমন মিয়া (৩৪) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়েছে- পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসির কাছ থেকে লিমন নিজের অভাব-অনটনের কথা বলে মাঝে মধ্যেই টাকাপয়সা নিতেন। এই টাকাপয়সা নেওয়াটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে লিমন মিয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রাত
টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার বর্ষপূতি আজ
বিশ্ব কাঁপানো নাইন-ইলেভেনে হামলার বর্ষপূর্তি আজ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ১৭তম বার্ষিকী।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ছিনতাই হওয়া দুটি যাত্রীবাহী বিমানের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় পাশাপাশি থাকা দুটি সুউচ্চ ভবন, যা টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত ছিল। একদল জঙ্গিবাদী একযোগে দুটি বিমান নিয়ে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ওই হামলা চালায়। তাতে স্তম্ভিত হয় গোটা বিশ্ব।
শুধু তাই নয়, সেদিনই হামলা হয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনেও। এ ছাড়া আরেকটি বিমান নিয়ে ওয়াশিংটনে হামলার চেষ্টা চালানো হলেও সফল হতে পারেনি ছিনতাইকারীরা। বিমানটির যাত্রীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ওই হামলা ব্যর্থ হলেও নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেননি যাত্রীরা। তাদের নিয়েই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় পেনসিলভেনিয়ার একটি মাঠে।
টুইন টাওয়ারের ওই হামলায় প্রাণ হারায় প্রায় তিন হাজার মানুষ। নষ্ট হয়েছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ ও অবকাঠামো।
যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তার ভূখণ্ডে প্রথম শত্রু হামলা বিবেচনা করে থাকে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী শুরু হয় ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’।
যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ওই হামলায় সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদাকে অভিযুক্ত করে সংগঠনটিকে ধ্বংস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের টানা ও সংঘবদ্ধ হামলায় আল-কায়েদার শক্তিমত্তা বহুলাংশে ধ্বংস হয়ে যায়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর হামলায় নিহত হন।

Comments
Post a Comment