বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার বর্ষপূতি আজ
বিশ্ব কাঁপানো নাইন-ইলেভেনে হামলার বর্ষপূর্তি আজ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ১৭তম বার্ষিকী।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ছিনতাই হওয়া দুটি যাত্রীবাহী বিমানের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় পাশাপাশি থাকা দুটি সুউচ্চ ভবন, যা টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত ছিল। একদল জঙ্গিবাদী একযোগে দুটি বিমান নিয়ে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ওই হামলা চালায়। তাতে স্তম্ভিত হয় গোটা বিশ্ব।
শুধু তাই নয়, সেদিনই হামলা হয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনেও। এ ছাড়া আরেকটি বিমান নিয়ে ওয়াশিংটনে হামলার চেষ্টা চালানো হলেও সফল হতে পারেনি ছিনতাইকারীরা। বিমানটির যাত্রীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ওই হামলা ব্যর্থ হলেও নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেননি যাত্রীরা। তাদের নিয়েই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় পেনসিলভেনিয়ার একটি মাঠে।
টুইন টাওয়ারের ওই হামলায় প্রাণ হারায় প্রায় তিন হাজার মানুষ। নষ্ট হয়েছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ ও অবকাঠামো।
যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তার ভূখণ্ডে প্রথম শত্রু হামলা বিবেচনা করে থাকে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী শুরু হয় ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’।
যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ওই হামলায় সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদাকে অভিযুক্ত করে সংগঠনটিকে ধ্বংস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের টানা ও সংঘবদ্ধ হামলায় আল-কায়েদার শক্তিমত্তা বহুলাংশে ধ্বংস হয়ে যায়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর হামলায় নিহত হন।

Comments
Post a Comment