বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
কলেজছাত্রী রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চারজনের ফাঁসি
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চারজনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ এবং একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মাত্র ৭১ দিনের মধ্যে এ বিচার কাজ শেষ হল।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম নাছিমুল আখতার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বাসটির চালক হাবিবুর রহমান (৪৫), চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (২০)। এ ছাড়া বাসের সুপারভাইজার সফর আলী ওরফে গেদু মিয়াকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি যে বাসে রূপাকে ধর্ষণ করা হয় সেই বাসটির মালিকানা পরিবর্তন করে রূপার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সমাপ্ত হলে রায়ের জন্য আজকের দিন রাখা হয়।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই রূপাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশমাইল এলাকায় বনের মধ্যে তাঁর মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় নারী হিসেবে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
পরের দিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্তানে দাফন করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তাঁর ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাঁকে শনাক্ত করেন।
২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের চালকের সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর, চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা প্রত্যেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। মামলার বাদী ও ভাই, জব্দ তালিকা, সুরতহাল রিপোর্ট, চিকিৎসক, পাঁচ আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণকারী চারজন বিচারিক হাকিম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ২৭ জন সাক্ষী আদালতে তাঁদের সাক্ষ্য দেন।
আজ সোমবার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মাত্র ৭১ দিনের মধ্যে এ বিচার কাজ শেষ হল।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম নাছিমুল আখতার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বাসটির চালক হাবিবুর রহমান (৪৫), চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (২০)। এ ছাড়া বাসের সুপারভাইজার সফর আলী ওরফে গেদু মিয়াকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি যে বাসে রূপাকে ধর্ষণ করা হয় সেই বাসটির মালিকানা পরিবর্তন করে রূপার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সমাপ্ত হলে রায়ের জন্য আজকের দিন রাখা হয়।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই রূপাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশমাইল এলাকায় বনের মধ্যে তাঁর মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় নারী হিসেবে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
পরের দিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্তানে দাফন করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তাঁর ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাঁকে শনাক্ত করেন।
২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের চালকের সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর, চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা প্রত্যেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। মামলার বাদী ও ভাই, জব্দ তালিকা, সুরতহাল রিপোর্ট, চিকিৎসক, পাঁচ আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণকারী চারজন বিচারিক হাকিম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ২৭ জন সাক্ষী আদালতে তাঁদের সাক্ষ্য দেন।

Comments
Post a Comment