বুধবার থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা বুধবার (১ মে) থেকে তাপমাত্রা কমে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবার ছিল চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সবচেয়ে গরমতম দিন। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়, এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকাতেও ছিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩-তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে অনার গার্ড প্রদান করে। পরে প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এলজিইডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদ প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, ডিবি পুলিশ, র্যাবের্ পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন।
এদিকে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩-তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের সীমানা মুকসুদপুর থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরগোবরা এবং ঘোনাপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিস্থল পর্যন্ত অন্তত পাঁচ শতাধিক কালো-কাপড়ে মোড়া তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এসব তোরণ নির্মাণ করেছেন জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুব লীগ, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে।
এছাড়া গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বঙ্গবন্ধু ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ায় বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে কালো-কাপড়ের পতাকা টাঙানো হয়েছে। টুঙ্গিপাড়াসহ পুরো জেলা শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
http://kalantornews.com/ 15/8/2018
Comments
Post a Comment