রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের স্কুলপড়ুয়া ছেলে তওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যা ও বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি লিমন মিয়া (৩৪) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়েছে- পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসির কাছ থেকে লিমন নিজের অভাব-অনটনের কথা বলে মাঝে মধ্যেই টাকাপয়সা নিতেন। এই টাকাপয়সা নেওয়াটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে লিমন মিয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রাত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোমস্তাপুর উপজেলার ভাগলপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হওয়া আদাদুল হত্যা মামলায় রায় দিয়েছে আদালত। রায়ে ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত অপর ৮জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. শওকত আলী আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে, জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের তোহর আলীর ছেলে দবির আলী (৩৯), একই গ্রামের এরফান আলী টিপুর ছেলে হামেদ আলী (৪১) ও তার ভাই রুমেদ আলী (৩৮), মৃত আবু বাক্কারের ছেলে আকালু (৪৪) এবং মৃত ভোগা তেলীর ছেলে এরফান আলী টিপু (৬১)। তবে, হামেদ আলী ও রুমেদ আলী পলাতক রয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে, জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের তোহর আলীর ছেলে দবির আলী (৩৯), একই গ্রামের এরফান আলী টিপুর ছেলে হামেদ আলী (৪১) ও তার ভাই রুমেদ আলী (৩৮), মৃত আবু বাক্কারের ছেলে আকালু (৪৪) এবং মৃত ভোগা তেলীর ছেলে এরফান আলী টিপু (৬১)। তবে, হামেদ আলী ও রুমেদ আলী পলাতক রয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, গোমস্তাপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্তের জেরে ২০০৯ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে দুখু মন্ডলের ছেলে আহাদুল রহনপুর খোয়ারমোড় থেকে বাড়ী ফেরার পথে ভাগলপুর গ্রামের পশ্চিমদিকে একটি বরই বাগানে পাশের্^ আসামীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়। এসময় হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আসামীরা। পরে, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহাদুলকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন গোমস্তাপুর থানায় মৃতের শশুর শামসুল হক বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবর আলী ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিয্গোপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমানাদি শেষে বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ বিচারক ৫ জনকে উপরোক্ত রায়ে দন্ডিত করেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমানাদি শেষে বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ বিচারক ৫ জনকে উপরোক্ত রায়ে দন্ডিত করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা এবং আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সেন্টু।

Comments
Post a Comment