বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
সূর্যকে ছুঁতে পার্কারের যাত্রা শুরু
সূর্যের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছাতে পার্কার সোলার প্রোব নামের একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ক্যাপ ক্যানভেরাল স্পেস সেন্টার থেকে সূর্যকে ছুঁতে এ যাত্রা শুরু করে পার্কার।
স্থানীয় সময় ৩টা ৩১ মিনিটে ‘ডেলটা আইভি হেভি’ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয় পার্কারের। নাসা নিশ্চিত করেছে যে, সফলভাবে রকেটটি উৎক্ষেপণ হয়েছে। আর রকেট থেকেও প্রোব ভালোভাবেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
কীভাবে কাজ করবে প্রোব?
দ্রুত গতিসম্পন্ন মনুষ্য তৈরি স্যাটেলাইট হচ্ছে পার্কার সোলার প্রোব। সূর্যের আচরণ বুঝতে দীর্ঘদিনের রহস্য উন্মোচন করবে এই স্যাটেলাইট। সূর্যের চারদিকে উজ্জ্বল আভাযুক্ত যে এলাকা, যেটি করোনা নামে পরিচিত, সরাসরি সেখানে গিয়ে ঢুকবে এই স্যাটেলাইট। তারপর সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে বোঝার চেষ্টা করবে এই নক্ষত্রের আচরণ। ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে প্রোবের।
নাসা সূত্রে জানা যায়, সাত বছরে সূর্যের চারদিকে ২৪ বার প্রদক্ষিণ করবে এই স্যাটেলাইট। ৬০ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে ।
এই প্রকল্পের অন্যতম বিজ্ঞানী ড. নিকি ফক্স বলেন, আমি বুঝতে পারছি ৬০ লাখ কিলোমিটার দূরত্বকে কখনই নিকট দূরত্ব বলে মনে হবে না। যদি ধরে নেয়া হয় ভূপৃষ্ঠ এবং সূর্যের দূরত্ব এক মিটার, তাহলে প্রোব সূর্য থেকে মাত্র ৪ সেন্টিমিটার দূরে থাকবে।
ড ফক্স বলছেন, এত দ্রুতগতির কোনো কিছু আগে তৈরি হয়নি। সূর্যের চারদিকে এটি প্রতি ঘণ্টায় ৬ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার গতিতে ঘুরবে। অর্থাৎ, এই গতিতে নিউইয়র্ক থেকে টোকিও যেতে এক মিনিটেরও কম সময় লাগবে।
কেন এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ?
সূর্য তার বৈদ্যুতিক বিভিন্ন কণা এবং চৌম্বক শক্তি দিয়ে পৃথিবীকে সবসময় প্রভাবিত করে রাখে। এই সোলার উইন্ড বা সূর্য থেকে নিঃসরিত বাতাসের প্রভাবে উত্তর মেরুর আকাশে তৈরি হয় অদ্ভুত রংচঙে আলোর খেলা।
কিন্তু সূর্যের কিছু প্রবাহ পৃথিবীর চৌম্বক শক্তির ভারসাম্য বিঘ্নিত করে ফেলতে পারে। এতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে। কক্ষচ্যুত হতে পারে মহাকাশে স্যাটেলাইটগুলো। এমনকি বৈদ্যুতিক গ্রিড বিকল হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা সেই সব বিপদ আগে থেকে বোঝার চেষ্টা করছেন। আর আগাম তথ্য দিয়ে এ কাজে সাহায্য করবে পার্কার।
http://zipansion.com/35IWn


Comments
Post a Comment