বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যেতে চান হাসিনা–মোদি
বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে একত্রে কাজ অব্যাহত রাখায় সম্মত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে এই ঐকমত্য প্রকাশ করেন। কাঠমান্ডুর স্থানীয় হোটেল সোয়ালটী ক্রাউন প্লাজায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠক অনুষ্ঠানের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় দুই নেতাকে উদ্ধৃত করে বলেন, তাঁরা বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দুই দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে একত্রে কাজ অব্যাহত রাখতে চাই।’ বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস সচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের এই বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’ দুই নেতা সাত-জাতি গ্রুপের ভবিষ্যৎ নিয়েও উচ্চাশা প্রকাশ করেন। প্রেস সচিব তাঁদের উদ্ধৃত করে বলেন, তাঁরা বলেছেন, ‘আমরা আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চাই এবং এতে বিমসটেকের সব সদস্যদেশ লাভবান হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যায় হায়াত রিজেন্সি হোটেলে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির দেওয়া নৈশভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও অন্য বিমসটেক নেতারা যোগ দেন।

Comments
Post a Comment