বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
চলে গেলেন প্রিয় শিক্ষক মোহিত কুমার দা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রিয় শিক্ষক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোহিত কুমার দা আর নেই। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ‘দিব্যান লোকান সগচ্ছতু’। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, নাতী ও নাতনীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাসভবনে ছুটে যান, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ অনেকেই।
তিনি তিন সপ্তাহ থেকে বাসভবনে শয্যাশায়ী ছিলেন, বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
প্রয়াত মোহিত কুমার দা, জেলা শহরের অন্যতম মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজারামপুর হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে অবসরে যান। বিদ্যালয় থেকে অবসর নিলেও, তিনি সামাজিক সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মকান্ড থেকে কখনো অবসর নেননি। তার স্পর্শে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল, হরিমোহন প্রাপ্তন ছাত্র সমিতি। যা হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের বড় সংগঠন। তিনি এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম শহীদ মিনার স্থাপনে একজন অগ্রনায়ক ছিলেন। এছাড়া, শিক্ষক কল্যাণ ট্রস্টের তহবিল গঠনে মূল উদ্যোক্তা ছিলেন।
জেলার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর বিচরণ ছিলো, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ সংগঠনগুলোকে এগিয়ে নিতে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বও দীর্ঘদিন কাঁধে বহন করেছেন সদা মিষ্টভাষী মোহিত দা। এছাড়া, তিনি শ্রী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সভাপতি, রামসীতা মন্দিরের সভাপতি ছিলেন। শিক্ষাকতার পাশাপাশি তিনি বেশকিছু দিন সাংবাদিকতাও করেছিলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর আগ পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ওই সময় ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞার হাত থেকে তৎকালিন মহকুমা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কার স্বরূপ ক্যামেরা পান।
প্রথম শহীদ মিনার স্থাপনের অগ্রনায়কের শবদেহ সেই চিরচেনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। এসময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা, শ্রী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটি ও শিবতলা কর্মকারপাড়া দূর্গা মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ পুস্পার্ঘ দিয়ে তাকে শেষবারের শ্রদ্ধা জানায়।
আজ শুক্রবার দুুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর কেন্দ্রীয় শ্মশানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
আজ শুক্রবার দুুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর কেন্দ্রীয় শ্মশানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।


Comments
Post a Comment