Skip to main content

Featured Post

The temperature may drop from Wednesday

  বুধবার থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা বুধবার (১ মে) থেকে তাপমাত্রা কমে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবার ছিল চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সবচেয়ে গরমতম দিন।  সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়, এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকাতেও ছিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।  গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন।  আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।  এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।  এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বা

Buss Acsident

মালিক যতো ক্ষমতাধর চালক ততোই বেপরোয়া


আবু ইউসুফ। পুলিশের একজন এডিশনাল এসপি। সিলেট রেঞ্জে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন ঢাকার ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাধে ঢাকার ট্রাফিক বিভাগ ও যানবাহন নিয়ে তার অভিজ্ঞতা অনেক। তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘ট্রাফিকের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- মালিক যত পাওয়ারফুল, ড্রাইভার তত পাওয়ার দেখায়।’
শুধু পুলিশ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নয়,ক্ষমতার এই দাপট হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সাধারণ মানুষরাও। ক্ষমতার দাপটে তারা আইনকে থোরাই কেয়ার করে। আর চালকদের এই ক্ষমতার উৎস হচ্ছেন তাদেরই মালিকরা। মারিকদের মধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক কর্মকর্তা, ধনাঢ্য শিল্পপতি, প্রভাবশালী, এমনকি; ক্ষমতা সম্পন্ন সরকারী কর্মকর্তাগণ। এই ‘পদমর্যাদার’ লোকদের সুবিধা হলো-তাদের গাড়ী থেকে চাঁদা দিতে হয় না, কাগজপত্র ঠিক না থাকলেও বিআরটিএ কিছু বলে না,রক্ষায় পুলিশী হয়রানীর শিকার হতে হয় না-ইত্যাদি। যে কারণে এই দাপুটে লোকদের অনেকেই পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মন্ত্রী-এমপিদেরও অনেক গাড়ী রয়েছে। যা নির্বিঘ্নে রাস্তায় চলছে। এসব গাড়ী কাউকে চাপা দিয়ে মেরে ফেললেও কিছু যায় আসে না; এমনই অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেকে রয়েছেন যাদের একটি গাড়ীও নেই কিন্তু পরিবহন কোম্পানী খুলে বসেছেন। কোম্পানীর নামে তারা বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ী চালান। বিনিময়ে তারা পান মাসোয়ারা। কোন পূঁজি বিনিয়োগ না করেই তারা বসে বসে গাড়ী প্রতি দিনে ৫০০-১০০০ টাকা নিয়ে যান।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারী কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীসহ অর্ধশতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি পরিবহন ব্যবসায় জড়িত। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন রয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের নিয়ন্ত্রণেই রাজধানীসহ সারাদেশের পরিবহন ব্যবসা। আর এমন ব্যক্তিদের গাড়ীতেই বেশী দুর্ঘটনা ঘটছে। এই পরিবহন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর মিরপুর থেকে চলাচলকারী চয়েজ, সিল্কসিটি, বিকল্প, বিহঙ্গ, শিখর, ইটিসি, ইউনাইটেড, দিশারী, নিউভিশন, সুপার সিটিং, শিকড়সহ বিভিন্ন কোম্পানির মিনিবাস সিটিং সার্ভিস হিসেবে চলছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর সড়কে চলাচল করছে প্রভাতী, আজমেরী, সুপ্রভাত স্পেশাল ও গাজীপুর পরিবহন। গুলি¯Íান-ধামরাই রুটের বাস দিশারী, গাবতলী মিনিবাস মালিক সমিতি, নিউ ভিশন, ভুঁইয়া, মৌমিতা, তেঁতুলিয়া, ঠিকানা, সাভার, নূরজাহান মানিকগঞ্জ, ফুলবাড়িয়া, প্রজাপতি, লাব্বাইক, আশীর্বাদ, প্রজাপতি, হিমাচল ও বসুমতী, মতিঝিল থেকে মোহাম্মদপুরগামী মৈত্রী, এটিসিএল, দিপন পরিবহনের বাসগুলো যাত্রী হয়রানির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। এর অধিকাংশের মালিক হলেন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক লোকজন। বিশেষ করে ক্ষমতাসনী দলের সঙ্গে তারা কোন না কোনভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। আবার কখনো কখনো দেখা গেছে রাজনৈতিক বৈরী হাওয়ায় রাতারাতি এসব কোম্পানীর মালিক পরিবর্তন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, শুধু ব্যবসা করার জন্যই এই খোলস পরিবর্তন। রাতারাতি কোম্পানীর নাম পরিবর্তনের ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপর কনক পরিবহন মিরপুর থেকে আগারগাঁও, মহাখালী, কাকলী হয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত রুটে ১৫টি বাস নামানোর অনুমতি পায়। এরূপ আরো বেশ কয়েকটি পরিবহন কোম্পানী রয়েছে; যার সাথে ক্ষমতাসনী দলের নেতা-কর্মীরা সরাসরি জড়িত আছেন। গত রোববার জাবালে নূর নামের যে বাস হোটেল রেডিসনের সামনে দুই শিক্ষার্থীকে ফুটপাতে পিষে মেরেছে ওই পরিবহনের উদ্যোক্তা অরাজনৈতিক হলেও এর পরিচালক হিসেবে রয়েছেন মিরপুর যুবলীগের এক নেতা। আরেকজন পরিচালক হচ্ছেন এক মন্ত্রীর আত্মীয়। প্রজাপতি পরিবহনের মালিক আওয়ামী লীগের মিরপুরের এক সাবেক এমপি। বসুমতী পরিবহন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উলøাহর। আজিমপুর থেকে উত্তরা রুটে চলাচলকারী ‘সূচনা-বিআরএফ’ পরিবহনে রয়েছে সাবেক এক প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বাস। একজন প্রভাবশালী এমপির চাচাতো ভাইয়ের বাসও চলে ‘সূচনা-বিআরএফ’ পরিবহনে। রাজধানীতে গাড়িচাপায় সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছে তেঁতুলিয়া পরিবহন।
মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর হয়ে আবদুল্লাহপুর রুটে পরিচালিত এই পরিবহনে অনুমোদিত গাড়ি আছে মাত্র ৫০টি। অথচ একই সাইনবোর্ডে ১৩০টিরও বেশি গাড়ি চলাচল করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তেঁতুলিয়া পরিবহন কোম্পানির চেয়ারম্যান ভোলার এক এমপি। জানা যায়, মাত্র আড়াই বছরে তেঁতুলিয়া গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ও বেপরোয়া চালানোজনিত দুর্ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। প্রভাবশালী হওয়ায় এই পরিবহনের কোন চালককে আইনের আওতায় নেয়া যায় না।
আজিমপুর, মিরপুর-১২, কুড়িল ও সদরঘাট রুটে চলাচলকারী বিহঙ্গ নামের পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা ৩০০ এর উপরে। তবে সবই লক্কর ঝক্কর মার্কা। বিহঙ্গ পরিবহন কোম্পানির চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন শীর্ষ নেতা। মালিক সমিতির অনেক নেতা রয়েছেন যাদের গাড়ী নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটায়। কিন্তু তারপরও কোন বিচার হয় না।

Comments

Popular posts from this blog

29 killed in bus ditch in Mexico

  মেক্সিকোতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯ মেক্সিকোর ওহাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ২৯ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।  বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।  মেক্সিকো সিটি থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ওহাকা রাজ্যের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পথে মাগদালেনা পেনাসকো শহরে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেসুস রোমেরোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  খাদে পড়ে যাওয়ার আগে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।  আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে কাছাকাছি একটি শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ৫ জনকে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানী ওহাকা সিটিতে, বলেছেন কর্মকর্তারা।  চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে নিচে পড়ে গেলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।  তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

The Prime Minister handed over Ekushey Padak to 21 people

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)  শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক।  সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।  অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।  ভাষা ও সাহ

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট একেবারে দোড়গোড়ায়। বাকি আর মাত্র তিন দিন। দেশজুড়ে ভোটের উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার মধ্যে নিশ্চিন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কলকাতার আনন্দবাজারকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এবারও আওয়ামী লীগ জিতবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুধাসদন ভবনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জনগনের ভোটেই আমরা আবার নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছেন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৬০০ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভোটও দিয়েছিল। সেই জনগণ আবার আমাদেরই ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ সে সব ভোলেনি। ভোলেনি বলেই ওই সব ঘটনা যে