বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
গর্ভে প্রেমিকের সন্তান, বিয়ে করলেন অন্যত্র! অতঃপর…
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বীর সিধলী গ্রামের গর্ভবতী এক গৃহবধূ স্বামী সংসার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।
জানা গেছে, গর্ভে প্রেমিকের ৪ মাসের যমজ সন্তান নিয়ে অন্য আরেক জনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর স্বামী সংসার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন ওই তরুণী। এরপর গত বুধবার থেকে ওই তরুণী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করে স্ত্রীর অধিকার ও গর্ভের যমজ সন্তানদের পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি তুলেছেন।
ওই তরুণী জানান, একই গ্রামের মজনু (২৫) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে মজনু তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এতে তার গর্ভে মজনুর সন্তান চলে আসে।
কিন্তু, গর্ভের সন্তানের বয়স যখন ৪ মাস তখন তরুণীর মা-বাবা তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের বীর সিধলী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বিল্লাল হোসেনের (৩০) সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের ৬ মাস পর যমজ সন্তান প্রসব করলে তার স্বামীও এখন তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিচ্ছেন না বলে জানা যায়।
এরপর ওই তরুণী তার স্বামীর সংসারে না থেকে প্রেমিক মজনুর বাড়িতে গিয়ে পাঁচদিন ধরে নিজেকে স্ত্রীর অধিকার ও তার সন্তানদের পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি তুলে অবস্থান করছেন।
এদিকে, প্রেমিক মজনু তাকে মেনে না নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। মজনু তার স্বজনদের মাধ্যমে জানাচ্ছেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তার কখনো শারীরিক মিলন তো দূরের কথা তাদের
আদৌ কোনো সম্পর্কই ছিল না।
আদৌ কোনো সম্পর্কই ছিল না।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা মেয়ে এবং তার সন্তানকে মেনে না নেয়ায় মজনুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার ব্যাপারে মজনুর সঙ্গে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযুক্ত মজনুর বোন মিতু আক্তার বলেন, ‘ওই তরুণী যে সন্তান জন্ম দিয়েছেন, ওই সন্তানদের বাবা আমার ভাই মজনু না।’
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, তবে ওই সন্তান দু’টির পিতৃত্বের ব্যাপারে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া আগেই কিছু বলা যাবে না।

Comments
Post a Comment